News of Apex Bangladesh

Apex Online

No comments found

এপেক্স বাংলাদেশ কর্তৃক ডিজাইনকৃত করোনা ভাইরাস লিফলেট

-প্রিয়

জাতীয় বোর্ড সদস্য ও জেলা গভর্নরগণ,
এপেক্স বাংলাদেশ কর্তৃক ডিজাইনকৃত করোনা ভাইরাস লিফলেটটি EPS & PDF করে অাপনাদের ই-মেইলে দেয়া হচ্ছে, অাপনারা নিজ নিজ জেলা ও ক্লাবের উদ্যোগে সবকিছু ঠিক রেখে নিজ নিজ ক্লাব বা জেলার নাম বসিয়ে উভয় পৃষ্ঠা সম্বলিত (বাকি সব ঠিক রেখে এপেক্স এর পরিচিতিসহ) প্রয়োজনীয় সংখ্যক লিফলেটটি ছাপিয়ে দ্রুত বিলি করার অনুরোধ করা গেল। ক্লাব বা জেলার নাম কিভাবে বসাবেন তার নমুনা লিফলেট ও  ছবি ফরম্যাটে দেয়া হয়েছে
জাতীয় সেবা পরিচালক এর নেতৃত্বে এপেক্স বাংলাদেশ ও বেশকিছু লিফলেট বিলি করছে। কয়েকটি কারণে অাপনাদের লিফলেট ছাপানোর অনুরোধ করা হচ্ছে:
♦১. কেন্দ্রীয়ভাবে লিফলেট ছাপিয়ে কুরিয়ার বা লোক মারফত পাঠাতে বহু দেরি হয়ে যাবে,যা কোনো কাজে অাসবেনা।
♦২. অনেকেই লিফলেট বা বিলিযোগ্য জিনিস বিলি বন্টন না করে ফেলে রাখেন, এমনকি কুরিয়ার হতে রিসিভ পযর্ন্ত করেন না।
♦৩. অনেক ক্লাবই আছে যারা নিজ নিজ উদ্যোগে ও নামে ছাপাতে চান কিন্তু সুন্দর ডিজাইন ও সঠিক তথ্য না থাকায় পারেন না; তারা নিজেদের ক্লাবের নামে ও উদ্যোগে ছাপালে যেমন খুশি হবেন তেমনি বিলি করাটা অনেকটা নিশ্চিত হবে।
♦৪। স্থানীয় পযার্য়ে নিজ ক্লাবের পরিচিতি ও গ্রহণ্যযোগ্যতা বাড়বে।
♦৫। সর্বপরি একসাথে সকল ক্লাবের জন্য লিফলেট ছাপানোর ব্যয়ভার বহন করা জাতীয় বোর্ডের জন্য একবারে কষ্টসাধ্য ও দুরূহ, বরং স্ব স্ব উদ্যোগে ছাপালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে সকলের কনট্রিবিউশান নিশ্চিত হয় এবং ২-৩ লাখ লিফলেট বিলি করা সম্ভব হবে।
> সবাই নিজ নিজ ক্লাব গুলোতে ডিজাইন গুলো পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছ। দ্রুত সাড়া দেয়া ও প্রচারণার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

বার্তা প্রেরক:
জাতীয় সভাপতি
জাতীয় সচিব

EPS Format Download

দেশের এই ক্রান্তিকালে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা একান্ত কর্তব্য

এপেক্সিয়ানরা সমাজে অসংগতি দূর করতে ভূমিকা রাখছে-

প্রিয় জেলা গভর্নর,জাতীয় বোর্ড সদস্য,ক্লাব সভাপতি / সেক্রেটারিগণ, সালাম ও শুভেচ্ছা। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সবাই নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি করছে ; বাজারে চরম অস্থিরতা, খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারে দাম আকাশছোঁয়া, হতদরিদ্র ও দিনে এনে দিনে খেটে খাওয়া মানুষগুলো সংকট শুরু হতে না হতেই সমস্যার চক্রে পড়ে গেছে। অথচ করোনা ভাইরাস এর ইতিহাস ও জীবনচক্র আমাদের আগত দিনগুলোর ভয়াবহতা জানান দিচ্ছে। করোনা প্রতিরোধের মূল শক্তি ‘ হাতগুলো জীবানু মুক্ত রাখার সেই প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার( হ্যাক্সিসল, হ্যান্ডরাব এমনকি ডেটল) বাজার হতে আজ উধাও, বেশি দামে পাওয়া যাচ্ছে না লিকুইড সাবানসহ প্রয়োজনীয় করোনা সুরক্ষায় জিনিস সমূহ। গত ২ দিনে হাজার খানেক প্লাস্টিক এর ছোট ছোট বোতল ম্যানেজ করা গেলেও ম্যানেজ করা যায়নি কাঁচামাল( এ্যালকোহল, গ্লিসারিন,স্প্রিটসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ )অথচ করোনার ভয়াল থাবা ধেয়ে আসছে । মৃত্যু ও সংক্রামক করোনার দীর্ঘ মেয়াদি হিংস্র থাবা ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বিপুল পরিমাণ জীবাণু নাশক উপাদান কয়েকগুণ বেশি প্রয়োজন হবে অল্প কয়েকদিনের মাঝেই। অথচ আমদানি একরকম বন্ধ।এই সময় সবচেয়ে কম দামে ও কম খরচে অথচ সবচেয়ে কার্যকর হচ্ছে ১। ৫% ক্লোরিন বা ব্লিচিং পাউডার ( ব্লিচিং পাউডারকে পানির সাথে প্রয়োজন মতো মিশিয়ে ( %) পার্সেন্টেজ বাড়ানো – কমানো যায়) ২। এছাড়াও বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান ( কাপড় কাচার সাবান), ভিনেগার (শিরকা)। ৩। আবার সয়াবিন বা সরিষা তৈল,ক্ষারযুক্ত সাবান(কাপড় কাচার) ও সামান্য গ্লিসারিন / শ্যাম্পু/ অল্প পরিমান পিচ্ছিল লিকুইড সাবান(শেষোক্ত গুলো মূলতঃ ত্বক কোমল ও মসৃণ রাখে) সাথে পরিমাণ মতো পানির মিশ্রণ চমৎকার জীবানুমুক্তকরণ ও বাজারের চেয়ে অধিক কার্যকর হ্যান্ড ওয়াশ হতে পারে। তবে সবচেয়ে কম খরচে ও কমসময়ে এবং কম ঝামেলার হচ্ছে ক্লোরিন বা ব্লিচিং পাউডার। শরীর,হাত বা কাপড় জীবানুমুক্ত করণে ২০ লিটার পানিতে ১ থেকে দেড় চামচ মিশ্রণ এবং ড্রেন বা হাসপাতাল ইকুইপমেন্ট বা প্রচুর জীবানুযুক্ত ফ্লোর / ওয়াল পরিষ্কারের জন্য ১০ লিটার পানিতে ৫ চামচ পাউডার বা ২ লিটারের পানির বোতলে ১ চামচ ব্লিচিং পাউডার মিশ্রণ। পানির সাথে ভিনেগার বা ফরমালিনও ভালো কার্যকর(বর্তমানে ফরমালিন ব্যবহার অনেকটা নিষিদ্ধ )। খুচরো বাজারে ব্লিচিং পাউডার ৯০/১০০ টাকা আর পাইকারি ৭৯/৭৫ টাকা মাত্র। সকল বোর্ড মেম্বার ও ক্লাব প্রেসিডন্ট-সেক্রেটারি-সার্ভিস ডিরেক্টরদের কাছে অনুরোধ কালোবাজারি/ মজুতদার /হুজুগে নব্য পয়সাওয়ালা স্বার্থপর মানুষগুলোর হাতে এই ব্লিচিং পাউডার বা ক্লোরিন মজুদ হওয়া বা অধিক মূল্যের লোভে বাজার হতে উধাও হওয়ার আগে বেশকিছু পাউডার সংগ্রহ করে (ছোট প্লাস্টিক ড্রাম ২৫-৩০ কেজি) ছোট ছোট প্যাকেট বা বোতলে বন্টনের জন্য রেডি করা দরকার ; পাশাপাশি দৈনিক শ্রমজীবি / কমভাগ্যবানদের জন্য ৮/১০ দিন চলার মতো চাল,পরিমাণ মতো ডাল,আলু,তৈল,পেয়াজ,রসুন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা খুবই প্রয়োজন। দেশের এই ক্রান্তিকালে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা একান্ত কর্তব্য ; আর নাহলে এপেক্স করাই অর্থহীন।৷

বিনীত –
এপেক্সিয়ান নিজাম উদ্দিন পিন্টু,
জাতীয় সভাপতি-২০২০, এপেক্স বাংলাদেশ।

 

মানবতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসুন-সৈয়দ নুরুর রহমান পিএনপি, এপেক্স বাংলাদেশ


মানবতার হাত বাড়িয়ে
এগিয়ে আসুন

দেশের এই চরম সংকটকালীন সময়ে শ্রমজীবী অসহায় গরীব মানুষের সহায়তায় ১০/১৫ দিন চলার মত চাল, ডাল, তেল, লবন, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী কিনে তাদের পাশে দাড়ান। নুন্যতম একজনের পাশে দাড়ান। একটি পরিবার বেঁচে যাবে। আপনার আশেপাশে এরকম অনেক পরিবার আছে যাদের ঘরে চুলা জ্বলবে না। যারা ক্ষুধার জ্বালা নিয়ে আপনার কাছে আসবে না। আপনাকেই এগিয়ে যেতে হবে তাদের কাছে। আমরা কাজ করছি।

এপেক্স ক্লাব অব কুমিল্লার উদ্যােগে এ রকম অসহায় কিছু পরিবারের পাশে দাড়ানোর কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

ব্যক্তি কিংবা সাংগঠনিক যে কোন পর্যায়ে হউক না কেন আপনার আশেপাশে মানবতার সহায়তায়এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। শুধু নিজ পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা নয়, আসুন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের বেঁচে থাকার প্রচেষ্টায় অংশীদার হই।

আমাদের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কর্মপ্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই হয়তো আমরা এ চরম সংকট সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মোকাবেলা করতে পারব

আহবানে-
সৈয়দ নুরুর রহমান
পিএনপি, এপেক্স বাংলাদেশ

এপেক্স কী এবং কেন?

July 12, 2023 0

প্রফেসর মোঃ কুদরত-ই খুদা লাইফ গভর্ণর ও অতীত জাতীয় সভাপতি অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান-মানুষের রয়েছে এ পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণের প্রাথমিক দায়িত্ব সরকারের উন্নয়নশীল […]

No Image

এপেক্স ক্লাব একটি অরাজনৈতিক ও অসাম্প্রদায়িক আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন।

May 2, 2023 0

এপেক্স ক্লাব একটি অরাজনৈতিক ও অসাম্প্রদায়িক আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন। সমাজকে নিঃস্বার্থ সেবাদান, আদর্শ নাগরিক হওয়া, দেশে বিদেশে সমবয়সী যুব সমাজের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপন কওে উন্নততর […]

এপেক্স কেন করবেন?

April 12, 2023 0

বাংলাদেশে এপেক্স বাংলাদেশে এপেক্স ক্লাবের বার্তাবহনকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সুলেমান খান। বাংলাদেশে এপেক্স রশ্মির প্রথম বিচ্ছুরণ ঘটে ১৯৬১ সালে। ঐ বছরের ১৯ জুলাই ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় […]

৫ই সেপ্টেম্বর Tree plantation Lets make a better Planet ( one lac {এক লাখ}tree plantation campaign) প্রচারণা প্রোগ্রাম

September 4, 2020 0

আগামি শনিবার, ৫ই সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় Tree plantation Lets make a better Planet ( one lac {এক লাখ}tree plantation campaign) প্রচারণা প্রোগ্রামটি লাইভ করা […]

এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতির জরুরী বার্তা

April 8, 2020 0

আসসালামু আলাইকুম। করোনা ভাইরাস এর এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের এই দেশ সত্যিকারের এক মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি। করোনা যতটা সমস্যাসঙ্কুল, আমরা এই দেশের মানুষগুলো এটাকে আরো বেশি জটিল […]

মহামারী মোকাবেলায় সেবা প্রদানের দিকনির্দেশনা দিলেন এপেক্স বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন পিন্টু

আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশ ”

এই ক্লাব প্রধানত “সেবা” “সিটিজেনশিপ” ও “ফেলোশিপ”   তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে থাকে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মহামারী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে  এপেক্স বাংলাদেশ এর আওতাধীন ১৪০ টি ক্লাবের সদস্যদের   সেবা পরিচালনার দিকনির্দেশনা দিলেন     এপেক্স বাংলাদেশ এর ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন পিন্টু  

  

আর্ন্তজাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ এর ১৪০টি ( চার্টাড-আনচাটার্ড) ক্লাবের এপেক্সিয়ানদের সেবা প্রদান বিষয়ক কিছু কথাঃ 

বাংলাদেশ আজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিপর্যয়ের মুখে।এই বিপর্যয়ের মেয়াদ আরো ১মাস হতে কয়েক মাস হতে পারে। আমরা অনেকেই করোনার ভয়াবহতা আচঁ করতে বা কল্পনাও করতে পারছিনা। সরকারি সিদ্ধান্তে হোম কোয়ারান্টাইন বা স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি বা জনবিচ্ছিন্ন থাকার অনুরোধ পাত্তা দিচ্ছেনা। এ অবস্থায় ক্লাবগুলো ব্যাপক সচেতনতা ও খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। এপেক্সিয়ানদের প্রতি অনুরোধ হুলুস্থুল না করে ধীরে সুস্থে বিলি করতে হবে। খেয়াল করতে হবে যারা লাইনে এসে দাঁড়ায় যেমন ভিক্ষুক, রিকসাওয়ালা;এরা মোটামুটি চালু এজন্য একাধিকবার আদায় করতে পারে, সরকারি বা বেসরকারি তালিকায় বারবার নাম থাকে কিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা মুখ ফুটে বলতে পারেনা, ঘরে পুরুষ মানুষ না থাকায়, শারীরিক সমস্যা বা বার্ধক্যের কারণে ঘর থেকে বাহিরে বা দূরে আসতে পারেনা কিন্তু খুব কষ্টে আছে এপেক্সিয়ানরা যেন তাদের খুঁজে এগুলো পৌঁছাতে পারে। এই ক্রাইসিস শুধু হতদরিদ্রদের জন্য নয় কিছুটা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার বা পাশের বাড়ির পরিবারটিও হতে পারে। তাদের পাশে সহায়তা নিয়ে দাড়াতে হবে।

এছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অনেকেরই টাকা আছে কিন্তু লোকবল নেই এই কঠিন সময়ে বয়স্ক হওয়ায় বা ভয়ে বেরিয়ে আসতে সাহস করেন না উনাদের নিজেদের টাকা দিয়ে দিয়ে উনাদের পাশে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দাড়িয়ে ঔষধ, বাজার করে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে,হট লাইন চালু করতে হবে,পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় বেশকিছু ডেডিকেটেড স্বেচ্ছাসেবক /স্বেচ্ছাসেবী স্থানীয় সংগঠন আছে তাদের সাথে যুথবদ্ধ হয়ে তাদেরও কাজে লাগানো যেতে পারে। দেখা যায় ঐসব স্বেচ্ছাসেবকদের আর্থিক সামর্থ্য কম,লজিস্টিক সাপোর্ট নাই কিন্ত ব্যাপক প্রাণশক্তি তাদের সাপোর্ট দিয়ে কাজে লাগাতে হবে। এই করোনা ক্রাইসিস কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদি ও মারাত্মক হতে পারে।

খাদ্য সংকটও প্রকট হবে তাই এই মুহূর্তে হুলস্থুল করে সামনে যাকে পাই তাকে দিবো এই নীতিতে যাওয়া যাবেনা, সার্ভিস করতে হবে এই জন্য সার্ভিস করছি এই চিন্তা হতে বেড়িয়ে আসতে হবে নইলে সমূহ বিপদ।এতে নিজেদের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে,সেবার আনন্দ আর তৃপ্তি পাওয়া যাবেনা ফলে আগ্রহ নষ্ট হবে। ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে, কেউ কেউ দুঃস্থ হিসেবে ত্রাণ সংগ্রহ করে জমা করছে আর যৌক্তিক অনেকেই পাচ্ছে না।

দুর্যোগকালীন সহায়তা দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে আপনার একদম পাশের বেসরকারি স্কুল এর পিয়ন,শিক্ষক রিটায়ার্ড শিক্ষক-কর্মচারী যিনি পেনশন উঠিয়ে আনলেই বাজার করা সম্ভব, ব্যাংকে টাকা তুলতে যেতে না পারা সীমিত আয়ের মানুষ, মিডিয়া কর্মী, সংস্কৃতি কর্মী,পত্রিকার স্টাফ,বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মাস্টাররোলে কাজ করা দৈনিক বেতনের কর্মী,বিনাবেতনে প্রতিষ্ঠান হতে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে দেয়া কর্মী এমনকি আপনার পাশের সেলুনের কর্মী,জুতা সেলাইওয়ালা, ছোট ছোট দোকানের কর্মচারী, প্রেসের কর্মচারী,বাইন্ডিং কর্মচারী, ফেরিওয়ালা,যারা মুখ ফুটে বলতে পারছে না কিন্তু তাদের পাশে দাড়ানো খুবই দরকার। নিজেদের প্রাথমিক বরাদ্দ শেষ হয়ে গেলে পারলে সরকারি-বেসরকারি সাহায্য ম্যানেজ করে দিতে হবে। নিজেদের সংগঠনের নাম ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে রাখতে হবে উনারা যেনো সামনাসামনি না বলতে পারলেও ফোনে হেল্প চাইতে পারে।

তবে প্রতারক ও এডিক্টেট মানুষ থেকে সতর্ক থাকতে হবে, তারা যেনো আমাদের সেবা স্পৃহা নষ্ট না করে দেয়। বিভ্রান্তিতে পড়া যাবে না।মহানবী( সা.) সেবা- সহযোগিতা ও ভালো কাজ প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে করার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। সবসময় গ্রহীতার ছবি উঠানো যায়না এবং ঠিকও না কিন্তু আপনি যেসব পণ্য একত্রিত করে রেডি করছেন ব্যানারসহ সেসব পণ্যের ও নিজেদের গ্রুপ ছবিটা অন্যদের উৎসাহিত করবে, নিজেদের সংগঠনকে পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার পাশাপাশি ক্লাব রিপোর্টকে সমৃদ্ধ ও প্রশ্নহীন করবে।এসব সাহায্য -সহযোগিতায় যদি কারো কন্ট্রিবিউশান থাকে তা অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আর যারা নিজেরা সাহায্য সহযোগিতা করেনা, প্রপাগান্ডা,ফেৎনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে।

দুঃখজনক হলেও সত্য ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যায়,আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা নিজেরা খরচ করেনা বা শারীরিক শ্রমও দেয় না কিন্তু ফটোসেশান এর জন্য দাঁড়িয়ে যায় তাদেরকে কোন অবস্থায়ই এলাও করবেননা ; তিনি যে-ই হোকনা কেন, তিনি/উনারা সবসময়ই নির্লজ্জ হতে পারলে আপনি/আপনারা কেন সংঠনের স্বার্থে দৃঢ় হতে পারবেন না। ক্রিয়েটিভ মানুষ নেগেটিভ হলে সবাই দূরে থাকবেন এবং রাখবেন;আল্লাহ পাক স্বয়ং কৃপণ ও নেতিবাচক -পরশ্রীকাতর,নিন্দুক অপছন্দ করেন, সেখানে আল্লাহর বান্দা হিসেবে পছন্দ করে গুণাহ করার দরকার নাই। সবশেষে খেয়াল রাখবেন করোনা ভাইরাস মারাত্মক ও স্পর্শ কাতর রোগ,আমাদের দেশে নিরবে নিভৃতে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে, এমনকি আমরা অনেকে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছি, অনেকেই বাহকও হতে পারি তাই খেয়াল করে সতর্ক, প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও নিরাপদ দুরত্ব রাখতে হবে যাতে গ্রহীতা হতে আমার না ছড়ায় আবার ত্রাণ দিতে গিয়ে তার বাড়িতে উল্টো বাড়তি মরণ উপহার করোনা ভাইরাস না দিয়ে আসি। আপনাদের কাছে অনেক চমৎকার আইডিয়া আছে, দ্বিধাহীন চিত্তে আপনাদের আইডিয়া ও পরামর্শ আমরা জাতীয় বোর্ড আশা করছি যাতে সীমিত সামর্থের মাঝেও এপেক্স বাংলাদেশ সেই মতে এগিয়ে যেতে পারে,উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।

পজিটিভ পরামর্শগুলো আমাদের ম্যাসেঞ্জারে দেন, গ্রুপ ম্যাসেঞ্জারে আলোচনা/ সমালোচনা করুন; কিন্তু ফেইসবুকে ওপেন/পাবলিকলি দেয়া কোনো মতেই উচিত না, সেখানে সবারই অন্য ঘরানার বন্ধুরা আছে যারা এপেক্স সম্পর্কে, আমাদের সম্পর্কে বিভ্রান্ত হবেন, আমাদের চিন্তা -চেতনা, আদর্শ, রুচি ও সংগঠন সম্পর্কে খুবই বাজে ধারণা সৃষ্টি হলে নতুন সদস্য প্রাপ্তিতে খুবই সমস্যা হবে, সংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ হবে।আল্লাহ সবাইকে সেবা করার তৌফিক দেন।আমিন।

বিনীত
এপেক্সিয়ান নিজাম উদ্দিন পিন্টু
জাতীয় সভাপতি
এপেক্স বাংলাদেশ
( আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন)

করোনা ভাইরাস সচেতনতায় লিফলেট, মাস্ক, গ্লাভস এবং বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ

আর্ন্তজাতিক সেবামূলক সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ জেলা-১ ও ২ কর্তৃক করোনা ভাইরাস সচেতনতায় লিফলেট, মাস্ক, গ্লাভস এবং বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করছেন জেলা-১ ও ২ এর এপেক্স নেতৃবৃন্দ …….

জেলা-৩ এর ১০০টি পরিবারের জন্য এক মাসের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

জেলা ৩ এর গভর্ণর এপে. মো: বেলাল হোসেন এর উদ্যোগে এপেক্স বাংলাদেশ জেলা ৩ এর পক্ষে ২৫ মার্চ ২০২০খ্রি. ১০০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। যে তালিকা করা হয়েছিল তার বাহিরে অনেকে এসে না পাওয়ায় মন খারাপ করে একটি অনিশ্চয়তা নিয়ে ফিরে গেছে জানালেন জেলা ৩ এর গভর্ণর এপে. মো: বেলাল হোসেন। তাই তাদের জন্য আবার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আজকে ২৬/০৩/২০২০ আরো ৫০টি হতদরিদ্র পরিবারের জন্য এক মাসের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচী সফলভাবে সমাপ্ত করেছে। ফিরে যাওয়া সহ আরো কিছু পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সকল ক্লাব ও ব্যাক্তি পর্যায়ে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানানো হয় এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি এপে. নিজাম উদ্দিন পিন্টু। এপেক্স বাংলাদেশের ১৪০টির অধিক ক্লাব এই সেবায় অংশ গ্রহনের জন্য তিনি সকলকে অবহিত করে চলেছেন।

জাতীয় বোর্ড, এপেক্স বাংলাদেশ

এপেক্স কী এবং কেন?


প্রফেসর মোঃ কুদরত-ই খুদা
লাইফ গভর্ণর ও অতীত জাতীয় সভাপতি
অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান-মানুষের রয়েছে এ পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণের প্রাথমিক দায়িত্ব সরকারের উন্নয়নশীল দেশ বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সরকারের পক্ষে এ দায়িত্ব সম্পূর্ণরুপে পালন করা সম্ভব নয় বিধায় সে সকল দেশে বিদেশী সাহায্যে অনেক এন.জি.ও কাজ করছে। বাংলাদেশেও এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই। স্বধীনতার পর থেকে বহু এন.জি.ও বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। পাশাপাশি কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজস্ব অর্থায়নে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। তার মধ্যে এপেক্স ক্লাব, লায়ন্স ক্লাব ও রোটারী ক্লাব অন্যতম।
১৯৩০ সালে অস্ট্রেলিয়ার জিলং শহরে তিনজন মহা মনীষী ইঞ্জিনিয়ার লংহাম প্রাউড, ইউইন লেয়ার্ড ও জন বুচান প্রথম মহাযুদ্ধের অর্থেনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে বন্ধুত্বের মাধ্যমে জীবিকা অর্জনের লক্ষে যে দুঃখী মানুষের সহায্যার্থে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বিশ্বজুড়ে সেবার আলো বিকীরণ করেছে। বাংলাদেশে এর ঢেউ লেগেছে ১৯৬১ সনে “এপেক্স ক্লাব অব ঢাকা” গঠনের মাধ্যমে। Details

নিয়মিত কাগুজে প্রকাশনা : এপেক্স বার্তা

মীট দ্যা প্রেসিডেন্ট- অনুষ্ঠানের আয়োজন


এপেক্স বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় সভাপতি এর সভাপতিতে এপেক্স বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মীট প্রোগ্রাম ৫ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার সকাল ১০ টায় যুব মহিলা অধিদপ্তর কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এপেক্স বাংলাদেশের ক্লাব সমূহের সভাপতিগন উপস্থিত ছিলেন এবং কর্মবছরটি কিভাবে পরিচালনা করছেন এবং থিম কিভাবে বাস্তবায়ন করবেন যে বিষয়ে সভাপতিগণ মতামত প্রদান করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ক্লাবগুলোর কার্যক্রম গতিশীল এবং কর্মপন্থা নির্ণয়ে জাতীয় অতীত সভাপতি এপে. শাতিল, এপে. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, এপে. সৈয়দ নূরুর রহমান, এপে. খুরশীদ উল-আলম অরুন ক্লাব সভাপতিদের বিভিন্ন বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর সভাপতি এপে. মফিজ উদ্দিন কামাল বিশেষ অতিথির পদ অলংকৃত করেন।

এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরন

বৃহস্পতিবার, 2 এপ্রিল বেলা ১১.০০ টায় মৌচাক এলাকায় কম ভাগ্যবানদের মাঝে এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হবে । ফাউন্ডেশনের যে সকল সদস্য মৌচাক/মালিবাগে অবস্থান করছেন তাদেরকে ০১৬৮৪০১৬১৫৬ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ধন্যবাদ। মো:আসলাম হোসেন, জেনারেল সেক্রেটারি এপেক্স বাংলাদেশে ফাউন্ডেশন।

এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর ৩৭ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশ এর সহযোগী সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন সম্প্রতি ২৯ মার্চ শুক্রবার হোটেল এশিয়া এন্ড রির্সোটস, ঢাকায় ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা বা সম্মেলনের আয়োজন করে। এপেক্স ফাউন্ডেশনের ২০১৭-২০১৮ বর্ষের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিশুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাষা সৈনিক ড.জসীম উদ্দিন আহমেদ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন এপেক্স বাংলাদেশ এর জাতীয় সভাপতি এপে. এম এ কাইয়ুম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের অতীত চেয়ারম্যানবৃন্দ, এপেক্স বাংলাদেশের লাইফ গভর্নরবৃন্দ ও জাতীয় বোর্ডের সদস্যবৃন্দসহ প্রায় ১৩০ জন আজীবন সদস্য ও অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
এবারের সম্মেলনে এপেক্স ফাউন্ডেশনের ২০১৯-২০২০ বর্ষের জন্য নতুন কার্যকরি পরিষদ নির্বাচিত হয় । গত বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো.মফিজ উদিন কামাল (লাইফ গভর্নর অতীত জাতীয় সভাপতি) যথারীতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন । ফাউন্ডেশন এর ২০১৯-২০২০ বর্ষের ভাইস চেয়ারম্যান পদে লাইফ গভর্নর শাহ আলম নিপু নির্বাচিত হন । ফাউন্ডেশনের অন্যান্য পদাধীকারী কর্মকর্তা হিসাবে পিএনপি মো. আসলাম হোসেন (জেনারেল সেক্রেটারি), পিএনপি মো. জসিম উদ্দিন, (ডাইরেক্টর- ফাইন্যান্স), সন্তোস চন্দ্র নাথ (ডাইরেক্টর সার্ভিস), পিএনপি হাসান ফেরদৌস জুয়েল (ডাইরেক্টর-মেম্বারশীপ ফান্ড রাইজিং) ও মো. হান্নান খান হেলিম (ডাইরেক্টর- পাবলিক রিলেশন) হিসাবে নির্বাচিত হন। এ ছাড়া আরো ১২ জন আজীবন সদস্য ম্যানেজমেন্ট বোর্ড সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ।
এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন নব নির্বাচিত ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মো.মফিজ উদ্দিন কামাল তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, আগামী দিনগুলোতে এপেক্স ক্লাবস অব বাংলাদেশ ও এপেক্স ফাউন্ডেশন মিলেমিশে কাজ করবে এবং এপেক্সের আদর্শকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বিখ্যাত কন্ঠ শিল্পী সুবীর নন্দীর কন্ঠে এপেক্স ক্লাবস অব বাংলাদেশের জন্য সেবা সংগীত

৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শিল্পকলায় একুশে পদক প্রাপ্ত ও ৩ বার বাচসাস পুরস্কারে ভূষিত বিখ্যাত কন্ঠ শিল্পী সুবীর নন্দীর সুর ও কন্ঠে এপেক্স ক্লাবস অব বাংলাদেশের জন্য এই “সেবা সংগীত”টি এপেক্সিয়ানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এপেক্স এপেক্স এপেক্স,
সেবার আদর্শই ভিত্তি হোক,
সকল উদ্যোগ সব আয়োজন,
সেবাই হোক সেই জীবনের পণ।
গড় নতুন সমাজ নতুন করে,
সুন্দর মানুষে উঠুক ভরে,
সক্রিয় করে তোল করো সচেতন,
সেবাই হোক সেই জীবনের পণ।
মৈত্রীর বন্ধন করো স্থায়ী,
বিশ্বের অঙ্গনে হোক সে জয়ী,
মানুষ মানুষে হোক পরম আপন,
সেবাই হোক সেই জীবনের পণ।

বাংলাদেশের বর্তমানে ১৪০টির অধিক এপেক্স ক্লাবের প্রতিটি অনুষ্ঠানে (প্রত্যেক ক্লাবে মাসে কমপক্ষে ২বার) প্রতিটি এপেক্সিয়ান এই গানটি সম্মিলিত কন্ঠে গেয়ে থাকেন, যা “Apex Song” নামে পরিচিত। এপেক্স ক্লাবের ৫৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী’২০১৮ তে এই গানটিতে অবদান রাখার জন্য এপেক্স বাংলাদেশ তাঁকে আর্থিক সম্মানীসহ সম্বর্ধনা প্রদান করেছে। অসাধারণ কথা ও সুরের কারনে গানটি সকল এপেক্সিয়ানের নিকটই পূজনীয়। বাংলাদেশের এপেক্স পরিবারের প্রায় ২০ হাজার সদস্য প্রতিভাধর এই গুণী শিল্পীর আত্নার শান্তি কামনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সুবীর নন্দীর কন্ঠে এপেক্স সেবা সংগীত

নিজাম উদ্দিন পিন্টু এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি

জাতীয় সভাপতির থিম -২০২০

বাংলাদেশে এপেক্স আন্দোলন ৫৯ বছর পেরিয়ে ৬০-এ পা রাখতে যাচ্ছে। মহাকালের বা সময়ের পরিক্রমায় এই সময়টুকু তেমন বেশি না হলেও রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার বিচারে ৫৯ বছর নেহাত কম সময় নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৬০ বছর বয়সে একজন মানুষ তাঁর জ্ঞান ও কর্ম দক্ষতার শীর্ষে পৌছায়। কিন্ত এই সময়ের মাঝে আর্ন্তজাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ কী তারঁ কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছুঁতে পেরেছে? সংগঠনটি তার প্রয়োজনীয় শক্তি ও সামর্থ্যরে কতটুকুইবা অর্জন করতে পেরেছে বা কাজে লাগাতে পারছে তা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে ।

এপেক্স শব্দের অর্থ যেহেতু শীর্ষ বা চ‚ড়া ;সেহেতু এপেক্স ক্লাবের একজন সদস্য বা এপেক্সিয়ানকে সমাজে,নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে, চিন্তা-চেতনায়, কর্মে-দক্ষতায় যেমনি শীর্ষত্ব অর্জন , আদর্শ ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে তেমনি নিজ সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ’কেও সামাজিক ও সেবা সংগঠন সমূহের মাঝে সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে । সেরা হবার জন্য সকলকে একীভ‚ত হয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজ করতে হবে।

এপেক্স আন্দোলনকে আরো গতিশীল ও কার্যকর করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। প্রাণপ্রিয় এই সংগঠনটি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দৌড়–চ্ছে নাকি সময়ের পিছু পিছু দৌড়–চ্ছে তা-ই প্রায় ভাবায় সকলকে । আসলে আমরা গতিতে অনেকটাই মনে হয় পিছিয়ে রয়েছি। সকল এপেক্সিয়ানের সক্রিয় সহযোগিতায় আমাদের আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে, দৃষ্টিকে করতে হবে সামনের দিকে প্রসারিত। দিগন্ত পানে লক্ষ্যকে করতে হবে অটুট। দূরপানে যাত্রা করার কঠোর পরিশ্রম ও প্রস্তুতিই পারে এপেক্সকে আরো সামনে এগিয়ে নিতে। যেতে হবে বহুদূর,দিতে হবে দিগন্ত পাড়ি। সামনে এগুতে দৃষ্টি সামনের দিকে প্রসারিত করতে হবে।
সময় বয়ে গিয়েছে অনেক। সংগঠনটিকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে পেছন ফিরে ফিরে তাকানোর সময় নেই, অতীতের দিকে তাকিয়ে বারবার ব্যর্থতার হা হুতাশ না করে এপেক্স নামক এই ট্রেনটিকে দিতে হবে গতি ।

অতীতের সাফল্য গাথাঁকে বানাতে হবে প্রেরণা শক্তি, ব্যর্থতাকে দিতে হবে ছুড়ে আস্তাকুড়ে। আমাদের প্রিয় এই সংগঠনটি আজ এক বিশাল মহীরুহে পরিণত হয়েছে। এই সংগঠনটিতে আজ ১২৫টি চাটার্ড ক্লাব আর প্রায় ১৫টি আনচাটার্ড ক্লাব নিয়ে বাংলাদেশে বৃহৎ একক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রায় ১৪০টি বগির একটি বিশালাকার ট্রেন। এই ট্রেনটিকে এগিয়ে নিতে ও গতি দিতে প্রয়োজন শক্তিশালী ইঞ্জিন অর্থাৎ ক্লাব পর্যায় হতে জেলা পর্যায়, জেলা পর্যায় হতে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত নেতৃত্বের চিন্তা,চেতনা ও কর্মপদ্ধতিতে আনতে হবে ব্যাপক পরিবর্তন। মনণে কর্মে আনতে হবে নতুনত্ব ও অভিনবত্ব। পুরাতন জরা-জীর্ণতাকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। বাধা-বিঘœকে দুমড়ে -মুচড়ে এগিয়ে যেতে হবে। ট্রেন এর চলার গতিতে বিঘœ ঘটলে যেমন ‘বগি’টিকে প্রথমে মেরামতের চেষ্টা করা হয়; সম্ভব না হলে বগিটিকে যেমন ফেলে রেখে এগিয়ে যেতে হয় ঠিক তেমনি এপেক্স নামক সংগঠনটির সদস্য ও কোন কোন ক্লাবের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।

LOOKING FORWARD বা সম্মুখপানে দৃষ্টি প্রসারিত করা, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে প্রত্যয়ী হওয়া । ব্যক্তি বা সংগঠনের ক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে যাবার এবং এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্য স্থির করতে না পারলে থমকে যেতে হয়,বারবার পিছিয়ে পড়তে হয় এবং খখনো কখনো থেমে যেতে হয়। সবকিছুরই একটি টার্গেট বা লক্ষ্য থাকে যা অজর্নে সবাইকে অত্যন্ত মনোযোগী,ধীরস্থির,অধ্যবসায়ী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পরিশ্রমী, লক্ষ্যভেদী আত্মপ্রত্যয়ী ; সর্বোপরি হতে হয় দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ।

ব্যক্তি বা সংগঠন প্রতিটির ক্ষেত্রেই ‘দূরদৃষ্টি’একান্ত প্রয়োজন; প্রয়োজন খুবই গোছালো,পরিকল্পিত , সহজ ও কার্যকর একটি ‘মাস্টার প্ল্যান’ । লক্ষ্যস্থির এর জন্য ‘কর্মপরিকল্পনায়’ টার্গেট এ্যাচিভ বা লক্ষ্য অজর্নে যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে সামনের দিনগুলো বা নিকট ভবিষ্যতে অর্থ্যাৎ সামনের সপ্তাহ/মাসে কী হবে? কতটুকু অর্জন হবে, ৬মাস পর,১ বছর পর একইভাবে ৫ বছর,১০ বছর২৫ বছর, ৫০ বছর,৬০ বছর, ১০০ বছর, ২০০ বছর পর প্রিয় সংগঠন কিভাবে টিকে থাকবে,কতটুকু এগুতে হবে, সামনে এগিয়ে যেতে কী কী বাধা আসবে? কিভাবে বাধা জয় করে লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যেতে হবে? দৃষ্টি সামনে প্রসারিত না করলে, এগিয়ে যেতে দৃঢ় প্রত্যয়ী না হলে, নিজের কাছে এবং সংগঠনের কাছে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ না হলে, আত্মতৃপ্ত হতে না পারলে কখনোই ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিকভাবে এগুনোর সুযোগ নেই, প্রাণ নেই। আর কোথাও থেমে থাকলে ,স্থিও হয়ে গোলক ধাঁধায় ঘুরপাক খেলে তা অনেকটা মৃত-ই বলা যায়। মৃতবৎ নিশ্চল- নিষ্প্রাণ সংগঠন সবসময়ই সদস্যদের কাছে যেমনি ক্লান্তিকর, বিরক্তিকর,একঘেয়ে হতাশাব্যঞ্জক; তেমনি স্বার্থপর, অলস,সেবাবিমুখ, কৃপণাভাবাপন্ন , কূট-কৌশল স্বভাব বিশিষ্ট অর্থ্যাৎ সুনাগরিক হওয়ার গুণগুলোর বিপরীত মানুষগুলো কখনোই সৌাহার্দপূর্ণ ও সেবামনষ্ক মানুষ-ই যেখানে হতে পারেনা ,সেখানে আর্দশভিত্তিক সংগঠনের একজন এপেক্সিয়ান ভাবা বা কল্পনা করাও শুধু অসম্ভব নয় অপরাধও বটে।

আমাদের প্রাণপ্রিয় আর্ন্তজাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এপেক্স বাংলাদেশ’ ২০২০ বর্ষে বাংলাদেশে তার পথচলার ৬০ বছর শুরু করবে এবং বিশ্বেও প্রায় ৯০ বছর পূর্ণ করতে চলছে । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমরা কী পেরেছি আমাদের এই সংগঠনটিকে একটি সতিকারের ‘স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন’ হিসেবে সার্বজনীন করতে ? আমাদের এই সংগঠনটি কী ব্র্যান্ডিং-এ কোন সম্মানজনক অবস্থানে আছে ? এই সংগঠনটিকে সর্বমহলে ‘প্রশংসিত’ বা সমাদৃত কিংবা বহুল পরিচিত করে তুলবার জন্য নিজেদের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতাকে কতটুকু কাজে লাগিয়েছি ? এপেক্স এর যেই আদর্শ বা প্রতিটি সভা ও অনুষ্ঠানে IDEALS OF APEX বা ‘এপেক্স আদর্শ’ পাঠ করি তার কতটুকুইবা লালন করি,মানি।

ভাবার বিষয় ১৯৬১ সাল হতে ২০২০ সাল এই দীর্ঘ পথচলায় আমরা আমাদের দৃষ্টিকে সামনের দিকে প্রসারিত করে ‘দূরদৃষ্টি’ সম্পন্ন আদর্শ এপেক্সিয়ানের মতো প্রাণের সংগঠনটি ,নিজ নিজ ক্লাবটিকে এগিয়ে নেয়ার-দেয়ার কতটুকু চেষ্টা করেছি ? ৬০ বছরে একজন মানুষ তারঁ কর্মঅভিজ্ঞতায়, দক্ষতায় কর্মক্ষেত্রে অনন্য উচ্চতায় পৌঁেছ যায় । অথচ আমাদের এই প্রিয় সংগঠনটিকে ৫৯ হতে ৬০ বছরের প্রান্তে আজ দাঁিঁড়য়ে সংগঠনের অস্তিত্ব ও প্রাণ স্পন্দন খুজঁতে হচ্ছে। সদস্যদের আকাশ ছোঁয়া প্রত্যাশার ভীড়ে দাড়িঁয়ে প্রাপ্তির ‘শূন্য ঝুলি’টা হাতঁেড়বেড়াতে হচ্ছে।
Citizenship (সুনাগরিকত্ব) Service(সেবা) Fellowship(সৌহার্দ বা বন্ধুত্ব) এই তিনটি মটো’র একটিতেও কি আমরা বাংলাদেশে Model or Example বা দৃষ্টান্ত হতে পেরেছি । আমাদের সংগঠনের সদস্যরা অন্য সংগঠনে ঝুকঁছে, সেখানে গিয়ে নিজেদের প্রাণ খুজেঁ বেড়ায়।

বাংলাদেশে এপেক্স আন্দোলনের এই পথচলা যে খুবই মসৃণ ছিলো তা-ও কিন্তু নয়। তবে সকলের পরিশ্রমে এপেক্স বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ৫৮ বছরের পথ পরিক্রমায় অনেকটুকুই এগিয়েছে। কখনো নেতৃত্বে সাবলীলতা ও গতিশীলতা ছিলো ,আবার কখনোবা ছিলো মন্থর। এপেক্সের এই ইতিহাসটুকু সবই যে ছিলো সাফল্যের তা-ও তো নয়,ব্যর্থতাও রয়েছে প্রচুর।

৫৮ বছরে এপেক্স আন্দোলন এগিয়ে যাবার কথা ছিলো অনেক দূর । কিন্তু এখন মনে হয় অনেক সাফল্যের পরও আমরা পিছিয়ে রয়েছি অনেকটা পথ। আগামী নেতৃত্ব সেই ব্যর্থতাটুকু কাটিয়ে এপেক্স বাংলাদেশকে দ্রæত সময়ে পৌছেঁ দিবে কাঙ্খিত লক্ষ্যে । এপেক্স বাংলাদেশ টিকেঁ থাকলে অনেক মানুষ পারে কাঙ্খিত সেবা, এপেক্স চর্চা অব্যাহত থাকলে এই যান্ত্রিক পৃথিবী পাবে অনেক গুলো মানবিক ও সংবেদনশীল মানুষ; যাঁেদর হাতের আলোকবর্তিকা এই দেশের মানুষ ও আর মানবিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদূর। বিভিন্ন পর্যায়ের এপেক্স নেতৃত্ব অর্থাৎ ক্লাব হতে জেলা,জেলা হতে জাতীয় বোর্ড সকল ধরণের নেতৃত্ব যদি মনে করেন এপেক্স আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এটি আমার নেতৃত্বের দায়িত্ব, মালিকানার কর্তৃত্ব নয় ; তবেই এই দেশে এপেক্স আন্দোলন টিঁকে থাকবে, আসবে সাফল্য । আর তা না হলে একদিন আমাদের হারিয়ে যেতে হবে কালের অতল গহবরে।

এপেক্স আন্দোলনকে আরো বেশি দৃঢ় ও প্রতিষ্ঠিত করতে হলে এপেক্সিয়ানদের ক্লাব প্রতিষ্ঠার যেই মূল উদ্দেশ্যের একটি ‘ফেলোশিপ’বা সদস্যদের পারস্পরিক সৌর্হাদ্য যেমন সুদৃঢ় করা জরুরী তেমনি সমাজের অন্যান্য মানুষের সাথে সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় সৌর্হাদ্যপূর্ণ কার্যক্রম বহুগুনে বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন।
এপেক্স আন্দোলনের অন্যতম মূল ভিত্তি হচ্ছে ‘কমভাগ্যবানদের জন্য এপেক্সিয়ানদের নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া’। সৌহার্দ ও সুনাগরিকত্ব কার্যক্রমকে করতে হবে গতিশীল, হৃদয়গ্রাহী,আকর্ষণীয়, কার্যকরী এবং অবশ্যই ফলপ্রসূ।

সেবায় আনতে হবে বৈচিত্র ও নতুনত্ব। তবে সময় এসেছে এপেক্স আন্দোলনকে আরো বেগবান ও স্থায়ী করার জন্য স্থায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো তৎপর হওয়া । স্থায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নে সমভাবে অতীত ও বর্তমান নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে । স্থায়ী সেবা কার্যক্রমই পারবে এপেক্স বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে।

একজন এপেক্সিয়ানের রাষ্ট্রের প্রতি,সমাজের প্রতি,পরিবারের প্রতি সর্বপরি মানুষের প্রতি অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে। আর তাই প্রথমেই একজন অগ্রসর মানুষ হিসেবে একজন মানুষকে নিজেকে তৈরি করতে হয়। সমাজকে ও সংগঠনকে নেতৃত্ব দিতে যেসব যোগ্যতা ও গুণাবলী অর্জন করা প্রয়োজন প্রকৃত এপেক্স চর্চার মাধ্যমেই এই সবগুলো গুণ অর্জন সম্ভব। সিটিজেনশিপ বা সুনাগরিকত্বে এপেক্স বাংলাদেশের সময়োপযোগী ও আরো নতুনত্বের সমাবেশ ঘটবে, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এপেক্স বাংলাদেশ এক অনন্য অবস্থানে পৌছুবে বলে আমার বিশ্বাস।

এই বাংলাদেশে এপেক্স আন্দোলন নতুন বছরে অর্থাৎ ৫৯ বছর হতে ৬০ বছরে পর্দাপনের এই সন্ধিক্ষণে প্রত্যাশা এই দেশে এপেক্স আন্দোলন শত বছর পেরিয়ে হাজার বছরে পা রাখবে ;আর আমরা এই সময়ের এপেক্সিয়ানরা বেচেঁ থাকবো সেই যুগ যুগ ধরে ।

আসুন, আমরা এপেক্সকে মনে-প্রাণে ভালোবাসি, আজকের উপর ভিত্তি করে আগামীতে এপেক্সকে স্বপ্নময় চ‚ড়ায় পৌছেঁ দিতে যুথবদ্ধ হয়ে সকলে কাজ করি। আসুন ২০২০ বর্ষের থিম LOOKING FORWARD কে অন্তরে ধারণ ও লালন করে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে নিজেদের এপেক্স চর্চা চালিয়ে যাই।
এপেক্স আন্দোলন দীর্ঘজীবী হোক ,এপেক্সের সুফল দেশের প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ুক এই প্রত্যাশা—।

এপেক্স বাংলাদেশে এর সদস্যদের জন্য মোবাইল এ্যাপস

আন্তর্জাতিক সেবামূলক সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ এর সেবা, সুনাগরিকত্ব ও সৌহার্দ্য এর বিষয়ে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এবং বর্তমান প্রযুক্তির সাথে তালমিলিয়ে সংগঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সদস্যগণের রক্তের গ্রুপ সহ বিস্তারিত তথ্য সমৃদ্ধ একটি এ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। গত ৩মে শুক্রবার চট্টগ্রামে পীটশপ রেস্টু্রেন্ট এভিনিউ হোটেল কনফারেন্স কক্ষে সংগঠনের জাতীয় সভাপতি এপে. এম. এ কাইয়ুম চৌধুরী এ্যাপসটি শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করেন এবং আনন্দের সাথে সকলকে অভিহিত করেন যে, এখন থেকে এপেক্স. বাংলাদেশের সকল সদস্য সকলের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারবেন, কল দিতে পারবেন, কারো রক্তের প্রয়োজনে রক্তের সাহায্য নিতে পারবেন। এ্যাপসটি প্লে স্টোর এবং আই ও এস স্টোরে পাওয়া যাবে এবং সহজেই ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে। এ্যাপসটি জাতীয় সভাপতির পরিকল্পনা এবং জাতীয় সম্প্রসারণ পরিচালক এপে. এম. এ হাসান আলীর নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হয়। কারিগরি সহায়তা দেন এপে. প্রভাষক দ্বীপ রায়, ওয়েবমাষ্টার এপেক্স. বাংলাদেশ।