এপেক্সিয়ানরা সমাজে অসংগতি দূর করতে ভূমিকা রাখছে-

প্রিয় জেলা গভর্নর,জাতীয় বোর্ড সদস্য,ক্লাব সভাপতি / সেক্রেটারিগণ, সালাম ও শুভেচ্ছা। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সবাই নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি করছে ; বাজারে চরম অস্থিরতা, খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারে দাম আকাশছোঁয়া, হতদরিদ্র ও দিনে এনে দিনে খেটে খাওয়া মানুষগুলো সংকট শুরু হতে না হতেই সমস্যার চক্রে পড়ে গেছে। অথচ করোনা ভাইরাস এর ইতিহাস ও জীবনচক্র আমাদের আগত দিনগুলোর ভয়াবহতা জানান দিচ্ছে। করোনা প্রতিরোধের মূল শক্তি ‘ হাতগুলো জীবানু মুক্ত রাখার সেই প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার( হ্যাক্সিসল, হ্যান্ডরাব এমনকি ডেটল) বাজার হতে আজ উধাও, বেশি দামে পাওয়া যাচ্ছে না লিকুইড সাবানসহ প্রয়োজনীয় করোনা সুরক্ষায় জিনিস সমূহ। গত ২ দিনে হাজার খানেক প্লাস্টিক এর ছোট ছোট বোতল ম্যানেজ করা গেলেও ম্যানেজ করা যায়নি কাঁচামাল( এ্যালকোহল, গ্লিসারিন,স্প্রিটসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ )অথচ করোনার ভয়াল থাবা ধেয়ে আসছে । মৃত্যু ও সংক্রামক করোনার দীর্ঘ মেয়াদি হিংস্র থাবা ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বিপুল পরিমাণ জীবাণু নাশক উপাদান কয়েকগুণ বেশি প্রয়োজন হবে অল্প কয়েকদিনের মাঝেই। অথচ আমদানি একরকম বন্ধ।এই সময় সবচেয়ে কম দামে ও কম খরচে অথচ সবচেয়ে কার্যকর হচ্ছে ১। ৫% ক্লোরিন বা ব্লিচিং পাউডার ( ব্লিচিং পাউডারকে পানির সাথে প্রয়োজন মতো মিশিয়ে ( %) পার্সেন্টেজ বাড়ানো – কমানো যায়) ২। এছাড়াও বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান ( কাপড় কাচার সাবান), ভিনেগার (শিরকা)। ৩। আবার সয়াবিন বা সরিষা তৈল,ক্ষারযুক্ত সাবান(কাপড় কাচার) ও সামান্য গ্লিসারিন / শ্যাম্পু/ অল্প পরিমান পিচ্ছিল লিকুইড সাবান(শেষোক্ত গুলো মূলতঃ ত্বক কোমল ও মসৃণ রাখে) সাথে পরিমাণ মতো পানির মিশ্রণ চমৎকার জীবানুমুক্তকরণ ও বাজারের চেয়ে অধিক কার্যকর হ্যান্ড ওয়াশ হতে পারে। তবে সবচেয়ে কম খরচে ও কমসময়ে এবং কম ঝামেলার হচ্ছে ক্লোরিন বা ব্লিচিং পাউডার। শরীর,হাত বা কাপড় জীবানুমুক্ত করণে ২০ লিটার পানিতে ১ থেকে দেড় চামচ মিশ্রণ এবং ড্রেন বা হাসপাতাল ইকুইপমেন্ট বা প্রচুর জীবানুযুক্ত ফ্লোর / ওয়াল পরিষ্কারের জন্য ১০ লিটার পানিতে ৫ চামচ পাউডার বা ২ লিটারের পানির বোতলে ১ চামচ ব্লিচিং পাউডার মিশ্রণ। পানির সাথে ভিনেগার বা ফরমালিনও ভালো কার্যকর(বর্তমানে ফরমালিন ব্যবহার অনেকটা নিষিদ্ধ )। খুচরো বাজারে ব্লিচিং পাউডার ৯০/১০০ টাকা আর পাইকারি ৭৯/৭৫ টাকা মাত্র। সকল বোর্ড মেম্বার ও ক্লাব প্রেসিডন্ট-সেক্রেটারি-সার্ভিস ডিরেক্টরদের কাছে অনুরোধ কালোবাজারি/ মজুতদার /হুজুগে নব্য পয়সাওয়ালা স্বার্থপর মানুষগুলোর হাতে এই ব্লিচিং পাউডার বা ক্লোরিন মজুদ হওয়া বা অধিক মূল্যের লোভে বাজার হতে উধাও হওয়ার আগে বেশকিছু পাউডার সংগ্রহ করে (ছোট প্লাস্টিক ড্রাম ২৫-৩০ কেজি) ছোট ছোট প্যাকেট বা বোতলে বন্টনের জন্য রেডি করা দরকার ; পাশাপাশি দৈনিক শ্রমজীবি / কমভাগ্যবানদের জন্য ৮/১০ দিন চলার মতো চাল,পরিমাণ মতো ডাল,আলু,তৈল,পেয়াজ,রসুন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা খুবই প্রয়োজন। দেশের এই ক্রান্তিকালে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা একান্ত কর্তব্য ; আর নাহলে এপেক্স করাই অর্থহীন।৷

বিনীত –
এপেক্সিয়ান নিজাম উদ্দিন পিন্টু,
জাতীয় সভাপতি-২০২০, এপেক্স বাংলাদেশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*